ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবায় বি এস এফ’র গুলিতে বাংলাদেশী কৃষক নিহত।

- Update Time : ১১:২২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
- / ৬৯ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবায় বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশী কৃষক নিহত।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএএসএফ’র গুলিতে আল আমিন (৩২) নামে এক বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্তের ২০৫০ নং পিলার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত আল আমিন পুটিয়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল কাদের। নিহত আল আমিনের লাশ শনিবার বিকেলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে হস্তান্তরের কথা জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। এ ঘটনায় লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ৬০ বিজিবি।
নিহত আল আমিনের পিতা সুলতান মিয়া জানান, তার চার ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে আল আমিন ছিলো তৃতীয় সন্তান। সে খুব শান্ত স্বভাবের ছিলো। তাদের বাড়ি থেকে সীমান্ত তিনশ গজ দুরত্বে অবস্থিত। শুক্রবার সন্ধ্যায় গরু রশি দিয়ে বাধার সময় একটি গরু ছুটে দৌড়ে চলে যায় সীমান্তের শুন্য রেখার ভারতীয় অংশে। ওখান থেকে গরুটি আনতে যায় আল আমিন। ভারতীয় শুন্যরেখায় গেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সদস্যরা তাকে গুলি করে। সে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বিএসএফ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে নিয়ে যায় ভারতে। সেখানে একটি হাসপাতালে নেয়ার সময় মারা যায় আল আমিন এমনটাই খবর পায় তারা। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নির্বাক হয়ে গেছে নিহতের মা, পরিবারে চলছে শোকের মাতম। তার লাশ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিকট রয়েছে। ৬ মাস আগে পাশ^বর্তী খাদলা গ্রামে বিয়ে করেছিলো আল আমিন। তার লাশ ফিরে পেতে ও তার নিরপরাধ সন্তানকে হত্যার বিচার দাবী করেন তিনি।
নিহতের স্ত্রী তারিন আক্তার বলেন, তাদের বিয়ের মাত্র ৬ মাস হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ। তার গর্ভে ২ মাসের অনাগত সন্তান। কি হবে এই অনাগত সন্তানের ভবিষ্যত। তার স্বামী হত্যার বিচার দাবী করেন বর্তমান সরকারের নিকট এবং স্বামীর লাশ ফেরত চান তিনি।
৬০ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল জিয়াউর রহমান বলেন, শুক্রবার রাতে তাদের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক আল আমিন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছিলো বিএসএফ। তার মারা যাওয়ার খবরটি সকালে জানিয়েছে বিএসএফ। এ ঘটনায় বিজিবি’র পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। লাশ ফেরত দিতে পতাকা বৈঠকের জন্য তাদের চিঠি দেয়া হয়েছে। বিএসএফ থেকে সময় পাওয়ার পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ আনা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ছামিউল ইসলাম বলেন, উপজেলার পুটিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশের যুবক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। বিজিবি’র পক্ষ থেকে লাশ হস্তান্তরের চিঠি দেয়া হয়েছে। সম্ভবত গতকাল শনিবার বিকেলে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পর্যায়ে পতাকা বেঠকের মাধ্যমে লাশ ফেরত আনার কথা জানিয়েছে বিজিবি।