নিকলীতে বিএনপির কমিটিকে নিয়ে পদ বঞ্চিত নেতারা করলেন সংবাদ সম্মেলন।

- Update Time : ০৮:২৩:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৩৭ Time View

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা বিএনপির নতুন পূর্নাঙ্গ কমিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন দলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। আজ শনিবার বেলা ১২টায় উপজেলা সদরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিন করে নিকলী নতুন বাজারে গিয়ে শেষ হয় মিছিলটি। এ বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, জাসাস ও ছাত্রদলের শত শত নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
বিক্ষোভ মিছিল শেষ করে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন কারা নির্যাতিত বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আসলাম, নিকলী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এডঃ জিল্লুর রহমান, বিএনপি নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা কামরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সিয়াম হাসান অক্ষয়, যুবদল নেতা ও জুলাই যোদ্ধা মোজাম্মেল হক, একাধিকবার কারা নির্যাতিত বিএনপি নেতা আলম মেম্বার, শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাতেম আলী, সাবেক উপজেলা তাতি দলের সাধারন সম্পাদক মুক্তার উদ্দিন , উপজেলা জাসাসের আহ্বায়ক শেখ রানা ও সদস্য সচিব তাজভীর আহমেদ প্রান্ত, কারপাশা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা লাল মিয়া সহ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছর দলের কারা নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে কোটি টাকা বানিজ্যের ফলে উপজেলা বিএনপির একটি ‘পকেট কমিটি’ ঘোষণা করা হয়েছে ও আত্মীয়তার কারনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকদের আত্মীয়রা উপজেলা কমিটিতে স্থান পাই । এ কমিটি সম্পূর্ণ অবৈধ ও বিতর্কিত । এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিতর্কের ঝড় বইছে। তাঁরা অবিলম্বে এ কমিটি বাতিল ঘোষণার জোর দাবি জানান।
পরবর্তীতে বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পদবঞ্চিত নেতা এডঃ জিল্লুর রহমান বিতর্কিত উপজেলা বিএনপির কমিটির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগে করেন, আমি উপজেলা কাউন্সিলে সাধারন সম্পাদক পদে ভোটের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করি, আমার দ্বিতীয় স্থান অর্জনে রাজনৈতিক দলীয় নিয়ম অনুসারে সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদ লাভ করার কথা । কিন্তু অসাংবিধানিক ও টাকার বিনিময়ে কাউন্সিলে যে পঞ্চম স্থান অর্জন করেন বাবু তাপস সাহা অপুকে পদটি দেয়া হয়, যাহা সম্পূর্ন অবৈধ।
তিনি আরো অভিযোগ করেন আমার মতই সভাপতি পদে শফিকুল আলম রাজন দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন, নিয়ম অনুযায়ী তার সিনিয়র সহ সভাপতি পদ থাকার কথা কিন্তু যে ব্যক্তি কাউন্সিলে অংশগ্রহনই করেন নাই হাজী মাসুক মিয়া তিনি প্রচুর টাকার বিনিময়ে পদটি কিনে নেন , এভাবে আমার মতই শফিকুল আলম রাজনকেও নিয়মের তোয়াক্কা করে সাধারন সদস্য পদ দেয়া হয়। এভাবেই ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, জাসাস, যুবদল সহ যারা পদাধিকার বলে যে পদে থাকার কথা কাউকেই সেভাবে মুল্যায়ন করা হয়নি অর্থনৈতিক ও আত্মীয়করনের কারনে। তিনি আরো বলেন অসাধু ব্যক্তিরা শুধু টাকার বিনিময়েই পদ বানিজ্য করেই ক্ষান্ত হননি, চিহ্নিত আওয়ামী ধোসরদেরও এই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়। আরো উল্লেখ থাকে গত ফ্যাসিষ্ট সরকারের সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের উপজেলা কমিটির নেতাকেও এই কমিটিতে স্থান দেয়া হয়।
এই পরিস্থিতিতে নিকলী উপজেলা বিএনপির নবগঠিত পূর্নাঙ্গ কমিটি বাতিল করার আহবান জানান উপজেলা বিএনপির একাংশ।