০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলিকপ্টার ও পালকিতে চড়ে বরের বাড়ি আসলেন নববধূ।

স্টাফ রিপোর্টার: মোঃ কেফায়েত উল্লাহ শরীফ
  • Update Time : ১২:৩৬:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৯৭ Time View

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলিকপ্টার ও পালকিতে চড়ে বরের বাড়ি আসলেন নববধূ।

 

 

তারিখঃ-১৫-০২-২০২৫ ইং

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিয়েকে স্মরনীয় করে রাখতে ও নিজের শখ পূরণ করতে নব বধূকে হেলিকপ্টারে ও পালকিতে চড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে আসলেন অভিষেক রায় প্রীতম নামে এক বর। এ সময় হেলিকপ্টার দেখতে শতশত লোক ভীড় জমায়।

জমকালো এই বিয়ের বর অভিষেক রায় প্রীতম পেশায় একজন চার্টাড একাউনটেন্টড। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ড্যাব নেতা ডাঃ পিবি রায় সুপ্রিয় ও জয়া সাহার ছেলে।

শুক্রবার বিকেলে তিনি জেলা শহরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বোর্ডিং মাঠে কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলার বড়হাটি গ্রাম থেকে বিয়ে করে নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টার অবতরণ করেন। পরে সেখান থেকে পালকিতে করে নববধূকে নিয়ে যান বরের পিত্রালয়ে।

নববধূ শ্রেয়া সাহা প্রমি কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলার বড়হাটি গ্রামের বাসিন্দা পংকজ কুমার সাহা ও সুজলা রানী সাহার মেয়ে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কনের বাড়িতে তাদের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

বরের স্বজন সুমন সাহা জানান, এমন বিয়ের আয়োজন দেখে আমাদের অনেক ভাল লেগেছে। এর আগে এমন বিয়ের আয়োজন কখনো দেখিনি।

বর অভিষেক রায় প্রীতম জানান, বাবার ইচ্ছে অনুযায়ী হেলিকপ্টার ও ছোট মামা প্রশান্ত সাহার ইচ্ছে অনুযায়ী পালকিতে করে নববধূকে বাড়ি আনা হয়েছে। স্বজনদের আনন্দ দেখে আমার মধ্যে ভিন্ন অনুভূতি কাজ করছে, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা।

প্রীতম আরো জানান, আমার বিয়ের অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিলেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

কনে শ্রেয়া সাহা প্রমি জানান, আজকের অনুষ্ঠান নিয়ে আমি আমার শ্বশুর বাড়ির লোকদের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, এর আগে আমি কখনো পালকিতে ও হেলিকপ্টারে ভ্রমন করিনি। তাই আমার বেশ ভাল লেগেছে। আজকের দিনটি সারাজীবন স্মরনীয় হয়ে থাকবে। আমি সবার কাছে আশীর্বাদ কামনা করছি।

বরের পিতা ড্যাব নেতা ডাঃ পিবি রায় সুপ্রিয় জানান, আমার ইচ্ছে ও স্বপ্ন ছিল সন্তানকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করানোর। সেই ইচ্ছা ও স্বপ্ন থেকেই বধূ বরণের জন্যে এই আয়োজন করেছি। আমি আমার পুত্র ও পুত্রবধূর জন্যে সকলের কাছে আশীর্বাদ কামনা করছি।

বরের মা জয়া সাহা জানান, সৃষ্টিকতার কৃপায় সকলের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি সুন্দর হয়েছে। আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

 

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলিকপ্টার ও পালকিতে চড়ে বরের বাড়ি আসলেন নববধূ।

Update Time : ১২:৩৬:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলিকপ্টার ও পালকিতে চড়ে বরের বাড়ি আসলেন নববধূ।

 

 

তারিখঃ-১৫-০২-২০২৫ ইং

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিয়েকে স্মরনীয় করে রাখতে ও নিজের শখ পূরণ করতে নব বধূকে হেলিকপ্টারে ও পালকিতে চড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে আসলেন অভিষেক রায় প্রীতম নামে এক বর। এ সময় হেলিকপ্টার দেখতে শতশত লোক ভীড় জমায়।

জমকালো এই বিয়ের বর অভিষেক রায় প্রীতম পেশায় একজন চার্টাড একাউনটেন্টড। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ড্যাব নেতা ডাঃ পিবি রায় সুপ্রিয় ও জয়া সাহার ছেলে।

শুক্রবার বিকেলে তিনি জেলা শহরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বোর্ডিং মাঠে কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলার বড়হাটি গ্রাম থেকে বিয়ে করে নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টার অবতরণ করেন। পরে সেখান থেকে পালকিতে করে নববধূকে নিয়ে যান বরের পিত্রালয়ে।

নববধূ শ্রেয়া সাহা প্রমি কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলার বড়হাটি গ্রামের বাসিন্দা পংকজ কুমার সাহা ও সুজলা রানী সাহার মেয়ে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কনের বাড়িতে তাদের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

বরের স্বজন সুমন সাহা জানান, এমন বিয়ের আয়োজন দেখে আমাদের অনেক ভাল লেগেছে। এর আগে এমন বিয়ের আয়োজন কখনো দেখিনি।

বর অভিষেক রায় প্রীতম জানান, বাবার ইচ্ছে অনুযায়ী হেলিকপ্টার ও ছোট মামা প্রশান্ত সাহার ইচ্ছে অনুযায়ী পালকিতে করে নববধূকে বাড়ি আনা হয়েছে। স্বজনদের আনন্দ দেখে আমার মধ্যে ভিন্ন অনুভূতি কাজ করছে, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা।

প্রীতম আরো জানান, আমার বিয়ের অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিলেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

কনে শ্রেয়া সাহা প্রমি জানান, আজকের অনুষ্ঠান নিয়ে আমি আমার শ্বশুর বাড়ির লোকদের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, এর আগে আমি কখনো পালকিতে ও হেলিকপ্টারে ভ্রমন করিনি। তাই আমার বেশ ভাল লেগেছে। আজকের দিনটি সারাজীবন স্মরনীয় হয়ে থাকবে। আমি সবার কাছে আশীর্বাদ কামনা করছি।

বরের পিতা ড্যাব নেতা ডাঃ পিবি রায় সুপ্রিয় জানান, আমার ইচ্ছে ও স্বপ্ন ছিল সন্তানকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করানোর। সেই ইচ্ছা ও স্বপ্ন থেকেই বধূ বরণের জন্যে এই আয়োজন করেছি। আমি আমার পুত্র ও পুত্রবধূর জন্যে সকলের কাছে আশীর্বাদ কামনা করছি।

বরের মা জয়া সাহা জানান, সৃষ্টিকতার কৃপায় সকলের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি সুন্দর হয়েছে। আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।