১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মামলা দিয়ে চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

স্টাফ রিপোর্ট শাহনেওয়াজ শাহ
  • Update Time : ১২:৫৬:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৯ Time View

মামলা দিয়ে চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটি দাউদপুর গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তায় মামলা দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকরার অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী ও চাইল্ড কেয়ার একাডেমির শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামে চাইল্ড কেয়ার একাডেমির সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন উক্ত একাডেমির কয়েকশত’ ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রায় শত বছর ও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্ব থেকেই আমাদের বাবা দাদারা ব্যবহৃত হয়ে আসা এ রাস্তাটি ৪০/৫০টি পরিবারের দুই শতাধিক মানুষ এবং চাইল্ড কেয়ার একাডেমির তিন শতাধিক ছাত্রছাত্রী-শিক্ষকের একমাত্র যাতায়াতের পথ। একই সঙ্গে গ্রামের একমাত্র সরকারি রেকর্ডভুক্ত প্রায় ৫০০ পরিবারের সামাজিক কবরস্থান ও বিলে যাওয়ার জন্যও এই রাস্তাটিই ব্যবহার করে আসছে শত বছর ধরে ।

তারা অভিযোগ করেন, একটি প্রভাবশালী মহল রাস্তাটি বন্ধ করার জন্য উঠে পড়ে লাগছে । এমনকি রাস্তা  পূর্বেও  চেয়ারম্যান, মেম্বার দিয়ে ৪/৫ বার মেরামতের কাজ করা হয়েছে, এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান চেয়ারম্যান দ্বারা ইটের সলিং এর কাজ সরকারি ভাবে অনুমোদন হইলে মুর্শিদ মিয়া ও দানামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করিয়া  রাস্তার ইটের সলিং এর কাজ বন্ধ করিয়া দেই, এলাকাবাসী জানান এই মামলার তদন্ত বিজয়নগর থানাকে প্রদান করিলে পর বিজয়নগর থানার পুলিশ তদন্তকারী কর্মকর্তা এলাকাবাসীর পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন, পরবর্তীতে আবারও  মামলার বাদি মুরশিদ মিয়া পুলিশের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে না রাজি প্রদান করিলে পুনরায় বিজয়নগর এসিল্যান্ড অফিসকে তদন্তবার প্রদান করেন, পরবর্তীতে বিজয়নগর থানার  এসিল্যান্ড অফিস জনগণ ও এলাকাবাসীর পক্ষে রিপোর্ট দাখিল করেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে এলাকাবাসীর পক্ষে রায় এইভাবে  প্রদান করেন যে, রাস্তায় যদি কোন প্রতিবন্ধকতা থাকে তাহলে অপসারণ করার জন্য বিজয়নগর থানা পুলিশ কে নির্দেশ প্রদান করে। উল্টো  মুর্শিদ মিয়া বার বার একের পর এক মিথ্যা  মামলা দিয়ে হয়রানি এবং রাস্তা সংস্কারের কার্যক্রম বন্ধ করিয়া দিয়েছে মর্মে এলাকা বাসী জানিয়েছে। মোরশেদ মিয়া  বিপক্ষে  তিনটি রিপোর্ট কোর্টে দাখিল করেন

বক্তারা আরও বলেন, “একমাত্র যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ হলে আমাদের চলাচল করতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে।এই জায়গার বিক্রেতা মালিক আব্দুল মোতালিব ওরফে সুনু ডাক্তার বলেন এটা আমাদের বাপ দাদার জায়গা আমরা রাস্তার জায়গা বাদ রেখে মুর্শিদ মিয়ার বাবা আবুল হোসেনের নিকট বিক্রয় করে,এখনো তাহারা তাদের ক্রয় কৃত জায়গা বুঝাইয়া দিতে প্রস্তুত রয়েছেন কিন্তু মোরশিদ মিয়া ও দানা মিয়া এতে রাজি হয় নাই,একের পর এক মামলা করিয়া এলাকাবাসী লোকজনকে হয়রানি করিতেছে।   তাই আমরা চাইএই রাস্তায়  কেউ যেন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে।”এজন্য স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের নিকট আকুল আবেদন জানান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

মামলা দিয়ে চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

Update Time : ১২:৫৬:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মামলা দিয়ে চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটি দাউদপুর গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তায় মামলা দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকরার অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী ও চাইল্ড কেয়ার একাডেমির শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামে চাইল্ড কেয়ার একাডেমির সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন উক্ত একাডেমির কয়েকশত’ ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রায় শত বছর ও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্ব থেকেই আমাদের বাবা দাদারা ব্যবহৃত হয়ে আসা এ রাস্তাটি ৪০/৫০টি পরিবারের দুই শতাধিক মানুষ এবং চাইল্ড কেয়ার একাডেমির তিন শতাধিক ছাত্রছাত্রী-শিক্ষকের একমাত্র যাতায়াতের পথ। একই সঙ্গে গ্রামের একমাত্র সরকারি রেকর্ডভুক্ত প্রায় ৫০০ পরিবারের সামাজিক কবরস্থান ও বিলে যাওয়ার জন্যও এই রাস্তাটিই ব্যবহার করে আসছে শত বছর ধরে ।

তারা অভিযোগ করেন, একটি প্রভাবশালী মহল রাস্তাটি বন্ধ করার জন্য উঠে পড়ে লাগছে । এমনকি রাস্তা  পূর্বেও  চেয়ারম্যান, মেম্বার দিয়ে ৪/৫ বার মেরামতের কাজ করা হয়েছে, এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান চেয়ারম্যান দ্বারা ইটের সলিং এর কাজ সরকারি ভাবে অনুমোদন হইলে মুর্শিদ মিয়া ও দানামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করিয়া  রাস্তার ইটের সলিং এর কাজ বন্ধ করিয়া দেই, এলাকাবাসী জানান এই মামলার তদন্ত বিজয়নগর থানাকে প্রদান করিলে পর বিজয়নগর থানার পুলিশ তদন্তকারী কর্মকর্তা এলাকাবাসীর পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন, পরবর্তীতে আবারও  মামলার বাদি মুরশিদ মিয়া পুলিশের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে না রাজি প্রদান করিলে পুনরায় বিজয়নগর এসিল্যান্ড অফিসকে তদন্তবার প্রদান করেন, পরবর্তীতে বিজয়নগর থানার  এসিল্যান্ড অফিস জনগণ ও এলাকাবাসীর পক্ষে রিপোর্ট দাখিল করেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে এলাকাবাসীর পক্ষে রায় এইভাবে  প্রদান করেন যে, রাস্তায় যদি কোন প্রতিবন্ধকতা থাকে তাহলে অপসারণ করার জন্য বিজয়নগর থানা পুলিশ কে নির্দেশ প্রদান করে। উল্টো  মুর্শিদ মিয়া বার বার একের পর এক মিথ্যা  মামলা দিয়ে হয়রানি এবং রাস্তা সংস্কারের কার্যক্রম বন্ধ করিয়া দিয়েছে মর্মে এলাকা বাসী জানিয়েছে। মোরশেদ মিয়া  বিপক্ষে  তিনটি রিপোর্ট কোর্টে দাখিল করেন

বক্তারা আরও বলেন, “একমাত্র যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ হলে আমাদের চলাচল করতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে।এই জায়গার বিক্রেতা মালিক আব্দুল মোতালিব ওরফে সুনু ডাক্তার বলেন এটা আমাদের বাপ দাদার জায়গা আমরা রাস্তার জায়গা বাদ রেখে মুর্শিদ মিয়ার বাবা আবুল হোসেনের নিকট বিক্রয় করে,এখনো তাহারা তাদের ক্রয় কৃত জায়গা বুঝাইয়া দিতে প্রস্তুত রয়েছেন কিন্তু মোরশিদ মিয়া ও দানা মিয়া এতে রাজি হয় নাই,একের পর এক মামলা করিয়া এলাকাবাসী লোকজনকে হয়রানি করিতেছে।   তাই আমরা চাইএই রাস্তায়  কেউ যেন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে।”এজন্য স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের নিকট আকুল আবেদন জানান।