ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি নেতার হামলার শিকার সাংবাদিক! ফুল দেয়া নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত দুই।

- Update Time : ০৫:০৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৯৬ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি নেতার হামলার শিকার সাংবাদিক! ফুল দেয়া নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত দুই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে. এম. বশির উদ্দিন তুহিনের বিরুদ্ধে জাতীয় দৈনিকের এক সাংবাদিককে বেধম মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নাসিরনগর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এই ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হন দৈনিক কালবেলা ও এনটিভির নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। হামলায় তার মুখ, মাথাসহ শরীরে বিভিন্ন অংশে ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে।
আহত ওই সাংবাদিক জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভাষা দিবস উপলক্ষে শহিদ মিনারে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। এ সময় শহীদ মিনারে উপস্থিত ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা জাতীয় নাগরিক কমিটির দুইজনকে ছাত্রলীগ বলে পেটাতে থাকে। ঘটনাটি মুঠোফোনে ধারণ করতে গেলে বশির ও তার সমর্থকেরা আমার দিকে ছুটে আসে। এসময় বশির আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে প্রথমে রড দিয়ে আঘাত করে। পরে তার ভাতিজা সহ তার কর্মীরা রড চাপাতি নিয়ে আমার উপর উপর্যপুরি আক্রমণ চালায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
বিষয়টি জানতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন তুহিনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ খাইরুল আলম বলেন, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট আব্দুল মান্নান বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন, এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তা দুঃখজনক।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় শহিদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মোঃ বিল্লাল মিয়া ও জীবন আলী নামে দুই কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। জানা যায়, রাতে শহিদ মিনারে ফুল দেয়ার সময় মহসিন ও শাহ আলম গ্রুপের লোকজন একসাথে ফুল দিতে গেলে বাদানুবাদ থেকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।