০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরাইলে ফুটবল মাঠ থেকে ছড়িয়ে পড়ল গ্রামজুড়ে সংঘর্ষ

জহির শাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
  • Update Time : ১২:৪৪:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৩৯ Time View

 

জহির শাহ্ | ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | ৮ নভেম্বর ২০২৫

যেখানে হাসি-আনন্দের প্রতিধ্বনি শোনা যাওয়ার কথা, সেখানেই বেজে উঠল ক্রোধ আর আর্তচিৎকারের ঢোল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার দুই গ্রামের মাঠে এক টুকরো ফুটবল খেলা শেষ হলো রক্তে রাঙানো সন্ধ্যায়। দক্ষিণ আড়িফাইল আর ফকিরহাটি—দুই গ্রামের সংঘর্ষে আহত হলো অন্তত ১৫ জন।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলের কোমল রোদে ফকিরহাটির মাঠে চলছিল কিশোরদের প্রীতি ম্যাচ। খেলায় এক কিশোরের লাথি যেন আগুনের ফুলকি হয়ে পড়ল মানুষের বুকে। ফকিরহাটির এক কিশোর দক্ষিণ আড়িফাইলের তারা মিয়ার ছেলে মামুনকে আঘাত করলে খেলার উত্তাপ রণক্ষেত্রের আগুনে পরিণত হয়। মুহূর্তেই মাঠের উল্লাস মিলিয়ে যায় টেঁটা, বল্লম, লাঠির ঝনঝন শব্দে।

ধানক্ষেতে মুখোমুখি হয় দুই গ্রাম। ইটপাটকেল উড়ে যায়, ছুটে চলে ক্রোধের ঝড়। মাটিতে পড়ে থাকে রক্তমাখা কাপড়, আর বাতাসে ভেসে বেড়ায় আহাজারির ধ্বনি। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে; কারও নাম তখনও জানা যায়নি।

খবর পেয়ে সরাইল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শান্তির চেষ্টা করে—দীর্ঘ প্রচেষ্টা শেষে নিয়ন্ত্রণ আসে পরিস্থিতি, কিন্তু বাতাসে রয়ে যায় ভয় আর তিক্ততার গন্ধ।

সরাইল থানার ওসি মোরশেদুল আলম বলেন, “ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষ। আমরা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

স্থানীয়দের দাবি, এই দুই গ্রামের বিরোধ বহু পুরোনো; খেলার নাম করে সেই আগুন আবার জ্বলে উঠেছে। এখন তারা চায়—মাঠে ফুটবলের হাসি ফিরুক, লাঠির ঝনঝন নয়; খেলার আনন্দ ফিরুক, নয়তো আগামী প্রজন্ম খেলতেই ভুলে যাবে।প্রশাসনের সাহায্য প্রার্থী এলাকাবাসী।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

সরাইলে ফুটবল মাঠ থেকে ছড়িয়ে পড়ল গ্রামজুড়ে সংঘর্ষ

Update Time : ১২:৪৪:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

 

জহির শাহ্ | ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | ৮ নভেম্বর ২০২৫

যেখানে হাসি-আনন্দের প্রতিধ্বনি শোনা যাওয়ার কথা, সেখানেই বেজে উঠল ক্রোধ আর আর্তচিৎকারের ঢোল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার দুই গ্রামের মাঠে এক টুকরো ফুটবল খেলা শেষ হলো রক্তে রাঙানো সন্ধ্যায়। দক্ষিণ আড়িফাইল আর ফকিরহাটি—দুই গ্রামের সংঘর্ষে আহত হলো অন্তত ১৫ জন।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলের কোমল রোদে ফকিরহাটির মাঠে চলছিল কিশোরদের প্রীতি ম্যাচ। খেলায় এক কিশোরের লাথি যেন আগুনের ফুলকি হয়ে পড়ল মানুষের বুকে। ফকিরহাটির এক কিশোর দক্ষিণ আড়িফাইলের তারা মিয়ার ছেলে মামুনকে আঘাত করলে খেলার উত্তাপ রণক্ষেত্রের আগুনে পরিণত হয়। মুহূর্তেই মাঠের উল্লাস মিলিয়ে যায় টেঁটা, বল্লম, লাঠির ঝনঝন শব্দে।

ধানক্ষেতে মুখোমুখি হয় দুই গ্রাম। ইটপাটকেল উড়ে যায়, ছুটে চলে ক্রোধের ঝড়। মাটিতে পড়ে থাকে রক্তমাখা কাপড়, আর বাতাসে ভেসে বেড়ায় আহাজারির ধ্বনি। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে; কারও নাম তখনও জানা যায়নি।

খবর পেয়ে সরাইল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শান্তির চেষ্টা করে—দীর্ঘ প্রচেষ্টা শেষে নিয়ন্ত্রণ আসে পরিস্থিতি, কিন্তু বাতাসে রয়ে যায় ভয় আর তিক্ততার গন্ধ।

সরাইল থানার ওসি মোরশেদুল আলম বলেন, “ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষ। আমরা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

স্থানীয়দের দাবি, এই দুই গ্রামের বিরোধ বহু পুরোনো; খেলার নাম করে সেই আগুন আবার জ্বলে উঠেছে। এখন তারা চায়—মাঠে ফুটবলের হাসি ফিরুক, লাঠির ঝনঝন নয়; খেলার আনন্দ ফিরুক, নয়তো আগামী প্রজন্ম খেলতেই ভুলে যাবে।প্রশাসনের সাহায্য প্রার্থী এলাকাবাসী।