০৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন জোনায়েদ সাকি

জহির শাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৩:০০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১১ Time View

 

জহির শাহ্ | ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | ৬ নভেম্বর ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বিজয়নগর–আখাউড়া) আসনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পরিচিতি এবং সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের সময় এই তথ্য জানানো হয়।

গণসংহতি আন্দোলন এবার ৯১টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে সাকি নিজেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের হাতে প্রকৃত ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া। গণসংহতি আন্দোলন এমন এক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যা জনগণের প্রয়োজন ও অধিকারের ভিত্তিতে গড়ে উঠবে।”

গত ২ নভেম্বর ঘোষিত দলটির নতুন ৫৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারী হয়েছেন জোনায়েদ সাকি এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আবুল হাসান রুবেল।

সংবাদ সম্মেলনে সাকি বলেন, “প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী দলগুলোকে একত্রিত করে একটি শক্তিশালী জোট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। আমরা চাই এমন একটি ঐক্য, যা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের কল্যাণে কাজ করবে।”

তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র মঞ্চ ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। বিএনপিসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যেন জনগণকেন্দ্রিক একটি কার্যকর রাজনৈতিক বিকল্প তৈরি করা যায়।”

নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানতের পরিমাণ বাড়ানো নিয়ে তিনি বলেন, “এটি গণতান্ত্রিক চর্চার পরিপন্থী পদক্ষেপ। এতে সাধারণ নাগরিকদের অংশগ্রহণ সীমিত হয়ে যাবে। রাজনৈতিক জোটের প্রতীকে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকা উচিত ছিল।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে জোনায়েদ সাকির প্রার্থীতা শুধু নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতাই নয়, বরং এটি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিকল্প ধারার রাজনীতির পুনর্জাগরণের ইঙ্গিত বহন করছে।

সাকির এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনী রাজনীতিতে নতুন এক প্রগতিশীল শক্তির উপস্থিতি আরও স্পষ্ট হলো, যা ভবিষ্যতের রাজনীতিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

3542

১০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন জোনায়েদ সাকি

Update Time : ০৩:০০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

 

জহির শাহ্ | ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | ৬ নভেম্বর ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বিজয়নগর–আখাউড়া) আসনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পরিচিতি এবং সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের সময় এই তথ্য জানানো হয়।

গণসংহতি আন্দোলন এবার ৯১টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে সাকি নিজেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের হাতে প্রকৃত ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া। গণসংহতি আন্দোলন এমন এক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যা জনগণের প্রয়োজন ও অধিকারের ভিত্তিতে গড়ে উঠবে।”

গত ২ নভেম্বর ঘোষিত দলটির নতুন ৫৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারী হয়েছেন জোনায়েদ সাকি এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আবুল হাসান রুবেল।

সংবাদ সম্মেলনে সাকি বলেন, “প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী দলগুলোকে একত্রিত করে একটি শক্তিশালী জোট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। আমরা চাই এমন একটি ঐক্য, যা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের কল্যাণে কাজ করবে।”

তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র মঞ্চ ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। বিএনপিসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যেন জনগণকেন্দ্রিক একটি কার্যকর রাজনৈতিক বিকল্প তৈরি করা যায়।”

নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানতের পরিমাণ বাড়ানো নিয়ে তিনি বলেন, “এটি গণতান্ত্রিক চর্চার পরিপন্থী পদক্ষেপ। এতে সাধারণ নাগরিকদের অংশগ্রহণ সীমিত হয়ে যাবে। রাজনৈতিক জোটের প্রতীকে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকা উচিত ছিল।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে জোনায়েদ সাকির প্রার্থীতা শুধু নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতাই নয়, বরং এটি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিকল্প ধারার রাজনীতির পুনর্জাগরণের ইঙ্গিত বহন করছে।

সাকির এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনী রাজনীতিতে নতুন এক প্রগতিশীল শক্তির উপস্থিতি আরও স্পষ্ট হলো, যা ভবিষ্যতের রাজনীতিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।