ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানি ও মাংস কাটতে গিয়ে আহত শতাধিক।

- Update Time : ০৫:১২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫
- / ৫৯ Time View

স্টাফ রিপোর্টার: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলায় ও বিভিন্ন স্থানে কোরবানি ঈদের পশু জবাই ও পশুর মাংস কাটতে গিয়ে প্রায় শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। শনিবার (৭ জুন) সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের রেজিষ্টার বই (রোগীর তথ্যবই) থেকে এই পরিসংখ্যান দেখা যায়। আহতদের বেশির ভাগেরই হাত এবং পায়ের আঙ্গুলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
আহতরা হলেন সুমন (২৬), মোরম আলী (৩৫), আনিস মিয়া (৪২), শিপন (২০), সেলিম (৪৫), জীবন (৪০), আরস (২৬), আরিফ (৩৪) জহিরুল হক (৫০), মোঃ মিলন (২৩), সেলিম (২০), জসিম (২৮), হাসু (২৮), মোঃ ইমরান (২৫), পাবেল মিয়া (২৭), শাকিব (২৮), আজিজুল (২১), জাহার মোল্লা (৫২), মাইনুল (২৫), প্রমুখ তারা সকলে জেলা শহরসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। এছাড়াও তত্ত্ব মতে বিভিন্ন উপজেলায় কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছে,
জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আজহার দিন জেলার বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লায় অসংখ্য কোরবানির পশু জবাই হয়েছে। এসব পশু জবাই ও পশুর মাংস কাটতে গিয়ে অদক্ষ কিছু কসাই ও পরিবারের সদস্যরা পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে তাদের কারো হাতে, পায়ে ধারালো ছুরির আঘাতে আহত হয়। আহত প্রত্যেককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কয়েকটি উপজেলায় ও এইসব অসাবধানতার কারণে এই সকল ঘটনা ঘটেছে, তাদের কারো অবস্থাই গুরুতর নয় বলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেছেন।
আহতদের মধ্যে জেলা শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার মোঃ পাবেল মিয়া জানান, পায়ের নিচে মাংস রেখে কাটার সময় আমার পায়ে কুপ পড়ে যায়। এতে পায়ে ধাঁরালো ছুরির আঘাত লাগে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তার পায়ে দুটি সেলাই দেয়া হয়েছে।
একই ভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা গ্রামের আহত সেলিম মিয়া জানান, সকালে কোরবানি দেয়ার পর গরুর মাংস কাটার সময় অসাবধানতার কারণে হাতে ছুরি আঘাত লেগে অনেকাংশ কেটে রক্তপাত হতে থাকে। পরে হাসপাতালে এসে ব্যান্ডিজ করার পর রক্ত বন্ধ হয়।
সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকার মোঃ আরশ মিয়া জানান, তিনি পেশায় রিকশা চালক। কোরবানির মাংস কাটার সময় তার হাতে ছুরি লেগে কেটে যায়। তাহার হাতে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শুভ্র রায় জানান, সকাল থেকে দুপুর ২.৩০ টা পর্যন্ত প্রায় শতাধিক রোগী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা সবাই কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন। সকলকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।