০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয় সনদভিত্তিক নির্বাচন ও পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নে পাঁচ দফা দাবিতে গণমঞ্চ গড়ে উঠছে

নাসিরনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
  • Update Time : ১২:৫৪:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৩২ Time View

 

আগামী জুলাইয়ে জাতীয় সনদভিত্তিক নির্বাচনের দাবি সামনে রেখে গণতান্ত্রিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলো শক্তিশালী গণমঞ্চ গড়ে তুলেছে। এ আন্দোলনের মূল দাবি পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি কার্যকর করা এবং পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়ন করা।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, বর্তমান নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নানা ধরনের অনিয়ম এবং স্বার্থান্বেষী কার্যকলাপ ভোটারদের বিশ্বাসহীনতা তৈরি করেছে। জাতীয় সনদভিত্তিক নির্বাচন গ্রহণ করলে সঠিক ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে এবং ভোটাধিকার রক্ষা পাবে।

এছাড়া, পিআর পদ্ধতি চালু হলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, নারী ও যুবকদের অধিক প্রতিনিধিত্ব সম্ভব হবে যা গণতন্ত্রকে আরও গতিশীল ও সমৃদ্ধ করবে বলে দাবি তাদের।

পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:
১. জাতীয় সনদ ভিত্তিক নির্বাচনের বাস্তবায়ন,
২. নির্বাচনে পিআর পদ্ধতির প্রবর্তন,
৩. নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি,
৪. ভোটারদের নিরাপত্তা ও সুবিধা নিশ্চিতকরণ,
৫. নির্বাচনী দুর্নীতি প্রতিরোধ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।

এ আন্দোলনের মুখপাত্র জানান, আগামীদিনে দেশব্যাপী গণজাগরণী কর্মসূচি এবং জনসভা-সমাবেশের মাধ্যমে জনমত গঠন করা হবে।

সরকারি পর্যায় থেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে এবং সরকার এ ব্যাপারে শিগগিরই পদক্ষেপ গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জাতীয় সনদ ও পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা অধিকতর স্বচ্ছ ও কার্যকর হবে, যা দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

জাতীয় সনদভিত্তিক নির্বাচন ও পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নে পাঁচ দফা দাবিতে গণমঞ্চ গড়ে উঠছে

Update Time : ১২:৫৪:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

 

আগামী জুলাইয়ে জাতীয় সনদভিত্তিক নির্বাচনের দাবি সামনে রেখে গণতান্ত্রিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলো শক্তিশালী গণমঞ্চ গড়ে তুলেছে। এ আন্দোলনের মূল দাবি পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি কার্যকর করা এবং পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়ন করা।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, বর্তমান নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নানা ধরনের অনিয়ম এবং স্বার্থান্বেষী কার্যকলাপ ভোটারদের বিশ্বাসহীনতা তৈরি করেছে। জাতীয় সনদভিত্তিক নির্বাচন গ্রহণ করলে সঠিক ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে এবং ভোটাধিকার রক্ষা পাবে।

এছাড়া, পিআর পদ্ধতি চালু হলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, নারী ও যুবকদের অধিক প্রতিনিধিত্ব সম্ভব হবে যা গণতন্ত্রকে আরও গতিশীল ও সমৃদ্ধ করবে বলে দাবি তাদের।

পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:
১. জাতীয় সনদ ভিত্তিক নির্বাচনের বাস্তবায়ন,
২. নির্বাচনে পিআর পদ্ধতির প্রবর্তন,
৩. নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি,
৪. ভোটারদের নিরাপত্তা ও সুবিধা নিশ্চিতকরণ,
৫. নির্বাচনী দুর্নীতি প্রতিরোধ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।

এ আন্দোলনের মুখপাত্র জানান, আগামীদিনে দেশব্যাপী গণজাগরণী কর্মসূচি এবং জনসভা-সমাবেশের মাধ্যমে জনমত গঠন করা হবে।

সরকারি পর্যায় থেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে এবং সরকার এ ব্যাপারে শিগগিরই পদক্ষেপ গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জাতীয় সনদ ও পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা অধিকতর স্বচ্ছ ও কার্যকর হবে, যা দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।